সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলায় আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ৫ জন আহত হয়েছেন। সন্ধ্যায় বেলকুচি সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার শাহিনুর কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, শনিবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়। এসময় সাবেক যুবলীগ নেতা বেলকুচি পৌরসভার মেয়র প্রার্থী সাজ্জাদুল হক রেজার সমর্থক ও বর্তমান মেয়র আশানুর বিশ্বাসের সমর্থকরা মিছিল নিয়ে আসার সময় দুটি মিছিল মুখোমুখি হয়। এসময় দুই গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে তা সংঘর্ষে রুপ নেয়।
জানা যায়, দলের বর্ধিত সভা চলছিল, সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বেলকুচি পৌর মেয়র আশানুর বিশ্বাসের নেতৃত্বে একটি মিছিল বর্ধিত সভাস্থল দলীয় কার্যালয়ের দিকে আসছিল। এ সময় যুবলীগের সদ্যবিলুপ্ত কমিটির আহ্বায়ক সাজ্জাদুল হক রেজার লোকজন মিছিল নিয়ে আসেন। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ টিয়ারশেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন।
পৌর মেয়র আশানুর বিশ্বাস বলেন, আমার সমর্থকরা পার্টি অফিসে আসার চেষ্টা করছিলেন। এ সময় রেজার নেতৃত্বে তার লোকজন হামলা চালান। এতে ইউপি চেয়ারম্যান আশিকুর রহমান লাজুক বিশ্বাসহ অন্তত ১২/১৩ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
অপরদিকে, সাবেক যুবলীগ নেতা সাজ্জাদুল হক রেজা বলেন, সামনে পৌর নির্বাচন। পৌর এলাকায় বর্তমান মেয়র আশানুর বিশ্বাসের কোনো সমর্থন নেই। বর্ধিত সভায় গণ্ডগোল সৃষ্টি করে আমার নেতাকর্মীদের মামলা-মোকদ্দমায় ফাঁসানোর উদ্দেশ্য নিয়েই আশানুর বিশ্বাস এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। তারাই বরং আওয়ামী লীগের দু’জন কর্মীকে মারধর করেছেন।
বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা জানান, দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল। তবে পুলিশ দ্রুত গিয়ে ছয় রাউন্ড টিয়ারশেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।